News

ইল্যান্স থেকে ছয় মাসে ১১ কোটি টাকা দেশ

ইল্যান্সে আয়
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে কাজ করে প্রায় ১১ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে এক হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের এ সাইটটিতে। ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষ ফ্রিল্যান্সাররা এই সাইটটিতে এখন কাজ পাচ্ছেন বেশি।

ইল্যান্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থাত্ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে ইল্যান্সে  সাত হাজারেরও বেশি নতুন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার যুক্ত হয়েছেন। চলতি বছরে ইল্যান্সে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। ২০১২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের জুন মাসে ১৪৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ইল্যান্সে কাজ করেছেন এবং আয়ের পরিমাণও অনেক বেশি। এ বছরের বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইল্যান্সে পাঁচ হাজার ৬৫২টি কাজ করেছেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা।
ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা আইটি, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিকস ও সফটওয়্যার বিভাগে তাদের দক্ষতা দেখিয়ে বেশি কাজ পাচ্ছেন। এ ছাড়াও  অ্যাডমিন সাপোর্ট ও বিপণনেও দেশি ফ্রিল্যান্সাররা দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সরা বেশির ভাগ কাজ পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুর থেকে।
অনলাইনে কাজের শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম ইল্যান্স ২১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল অনলাইন এমপ্লয়মেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় ইল্যান্সে ব্যবসায়ের ওপর বিনয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগ ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।


১০০ জন পাবেন আউটসোর্সিং পুরস্কার

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) চলতি বছর ১০০ জনকে আউটসোর্সিং পুরস্কার দেবে। গতকাল শনিবার ঢাকায় বেসিস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’ শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনে বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ঢাকা মানেই তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ নয়; ঢাকা মানেই ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসার নয়। দেশের সবগুলো উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে যাওয়াই বেসিসের লক্ষ্য। 
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৪-এর জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ফাহিম মাশরুর সম্মেলনে বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য এই পুরস্কার একধরনের পথ প্রদর্শকের কাজ করবে। পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান, রপ্তানির পরিমাণ ও সামাজিক ভূমিকা গুরুত্ব পাবে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০১৪-এর আহ্বায়ক শাহ্ ইমারউল কায়ীশ, বেসিসের সহসভাপতি উত্তম কুমার পাল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান।
ইমারউল কায়ীশ জানান, ৬৪টি জেলায় একজন করে সফল ফ্রিল্যান্সার বা তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাকে দেওয়া হবে এই পুরস্কার। আরও ছয়টি আলাদা বিভাগে (ওয়েব অ্যাপলিকেশন ডেভেলপমেন্ট, এসইও ও অনলাইন বিপণন, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন, ব্লগিং, মোবাইল অ্যাপলিকেশন) তিনজন করে ১৮ জনকে উদ্যোক্তা হিসেবেও পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিভাগে ১৫টি এবং নারী বিভাগে তিনটি পুরস্কার রয়েছে। অনলাইনে বেসিসের ওয়েবসাইটে (www.basis.org.bd) এ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। নিবন্ধন চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রর্যন্ত। পুরস্কার দেওয়া হবে আগামী মার্চ মাসে। ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে বেসিস। —মো. রাফাত জামিল

নতুনদের জন্য অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে পরামর্শ



ঘরে বসেও অনলাইনে আয় করা যায়। ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার, ইল্যান্সের মতো অনলাইন মার্কেপ্লেসে কাজ করছেন বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যানসার। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
১. থাকতে হবে কাজের দক্ষতা, উদ্যোগ, ধৈর্য, অনলাইন উপস্থিতি, পেশাদারিত্ব, মনোযোগ।
২. ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে, কাজের বর্ণনা বুঝতে হবে, সামাজিক যোগাযোগে দক্ষতা থাকতে হবে।
৩. দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ, ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে। কাজের পরিবেশ থাকতে হবে।
৪. কাজের মনস্থির করে প্রথমেই খুলতে হবে অ্যাকাউন্ট। শক্ত পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্টটি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।
৫. নিজের প্রোফাইলটিকে সুন্দর করে সাজানো দরকার সবার আগে। প্রোফাইলে নিজের কাজের দক্ষতা উল্লেখ করতে হবে।
৬. প্রোফাইল তৈরির পর টাকা ধৈর্য ধরে বিড করতে হবে।
৭. দক্ষতার জন্য পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং তাতে ভালো স্কোর কাজ পেতে সাহায্য করবে।
৮. আপনার পছন্দের কাজে জন্য বিড করতে পারেন। বিড করার জন্য বায়ারের চাওয়া দক্ষতাগুলো তুলে ধরতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ।

এগিয়ে যাচ্ছেন দেশি ফ্রিল্যান্সাররা


ফ্রিল্যান্সিং
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অর্থ আয়ের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা। অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ফ্রিল্যান্সারদের ২০১২ সাল থেকে ২০১৩ সালে কাজ অনলাইন মার্কেপ্লেসে কাজ পাওয়ার হার ১০২ ভাগ বেড়েছে।  ২০১৩ সালে সর্বমোট ২২,০৯৭ টি কাজে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, যেখানে ২০১২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল মাত্র ১০,৯৬১টি।
বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান প্রথম আলো ডটকমকে
জানিয়েছেন, ফ্রিল্যান্সার মার্কেটে দারুণ অগ্রগতি হয়েছে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের। কাজ পাওয়ার পাশাপাশি আয়ের দিকে থেকেও এগিয়েছেন দেশি ফ্রিল্যান্সাররা।
সাইদুর মামুন খান দাবি করেছেন, ২০১২ সালে ইল্যান্স ডট কমে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের আয় ছিল প্রায় ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার কাছাকাছি। ২০১৩ সালে এসে এদেশের ফ্রিল্যান্সাররা মোট আয় করেছে প্রায় ২৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার কাছাকাছি।  ২০১৪ সালে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা আরও ভালো করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
ইল্যান্স ডট কমে সাধারণত দুইভাবে বিভিন্ন দেশের র‍্যাঙ্ক ঠিক করা হয়। একটি হচ্ছে আয়ের উপর ভিত্তি করে এবং আরেকটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার সংখ্যার ভিত্তিতে।
ইল্যান্সের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সার সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ ১৭০টি দেশের মধ্যে ৭ নম্বর অবস্থানে আছে। আর আয়ের দিক দিয়ে আছে ১৩ নম্বর অবস্থানে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শুরুতে আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ ছিল ১৪ নম্বর অবস্থানে।
সাইদুর মামুন খান জানিয়েছেন, গত বছর দারুণভাবে কাজ করার মাধ্যমে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে ১৩তম অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ইল্যান্সে রেজিস্টার্ড ফ্রিল্যান্সার আছে প্রায় ৫৬ হাজার, যার মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার ফ্রিল্যান্সার ইল্যান্সে যোগ দিয়েছেন ২০১৩ সালে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা ও দক্ষদের সম্পর্কে সাইদুর আরও জানান, অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সে ২০১৩ সালের একজন সফল ফ্রিল্যানসার শরিফ মোহাম্মদ শাহজাহান। ৩৬ বছর বয়সী শরিফ কয়েক বছর আগে ফ্রিল্যান্সিং শুরুর আগে নিজের এলাকা সাভারে একটি ফটোগ্রাফি স্টুডিও চালাতেন। তাঁর ছবি সম্পাদনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এখন নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে ১২ জনের একটি দল নিয়ে কাজ নিয়মিত কাজ করছেন।


বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুযোগ


অনলাইনে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংগঠন  ইনফোনেট। এতে ইংরেজিতে দক্ষ যেকেউ ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি থাকলে ঘরে বসে দেশের যেকোনো প্রান্ত  থেকে  কোর্স করার সুযোগ পাবেন।
ইনফোনেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তরুণদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ। এখানে পেশাদার ফ্রিল্যান্সার কর্তৃক অনলাইনে সরাসরি ট্রেনিং এর পাশাপাশি লেকচার শিট এবং সপ্তাহ শেষে পরীক্ষা ও এবং কোর্স শেষে সনদ দেওয়া হবে।
ওয়েব ও গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়ার্ড প্রেস, এসইও, ই-মেইল মার্কেটিং এবং আর্টিকেল রাইটিং এর উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।  এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ই-বুক  ও পেনড্রাইভের মাধ্যমে কিংবা ওয়েবসাইট থেকে ফ্রি  ভিডিও  টিউটোরিয়াল দেখার সুযোগ থাকবে। এখানে কোর্স করার পর মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাইলে এই সংগঠনে  কাজ করার সুযোগ পাবেন।
প্রতিটি  ব্যাচে শুধুমাত্র ১০০ জন অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। ক্লাস হবে সপ্তাহে ৩ দিন, ১ থেকে দেড় ঘণ্টা।  মোট ৪৫ দিনের কোর্স। ডে শিফট এবং মর্নিং শিফট থাকায় সবার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনলাইনে টিমভিউয়ার সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরাসরি স্ক্রিন শেয়ার করে শেখানো হবে। এতে ওয়েব ক্যাম থাকার প্রয়োজন নেই।
কোর্সে অংশ নিতে যোগ দিতে যেতে হবে- https://www.facebook.com/groups/infonetbd/
বিস্তারিত জানা যাবে  www.infonetbd.org এই ওয়েবসাইটে।


ফ্রিল্যান্সিংয়ে বৃত্তি পাচ্ছেন ২৫০ জন নারী


‘নারীদের অগ্রযাত্রায় ফ্রিল্যান্সিং’ শীর্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে
বিনামূল্যে দেশের ২৫০ জন নারীকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং বিষয়ে বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। ২৮ ডিসেম্বর শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫০ জন নারীকে এ বৃত্তি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘নারীদের অগ্রযাত্রায় ফ্রিল্যান্সিং’ শীর্ষক এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০ জন নারীকে বৃত্তি দেওয়া হয় এবং আরও ১৫০ জনকে সরকারি খরচে এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়।

‘নারীদের অগ্রযাত্রায় ফ্রিল্যান্সিং’ নামের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব নজরুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির প্রকল্প পরিচালক এএনএম সফিকুল ইসলাম, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের কান্ট্রি ম্যানেজার  সাইদুর মামুন খান, ক্রিয়েটিভ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনির হোসেনসহ আরও অনেকে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীরা অনেক ভালো করছেন। প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন ও পরবর্তীতে ১৫০ জন ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বৃত্তি পাবেন।
নজরুল ইসলাম খান আরও জানিয়েছেন, ভারতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীর অংশগ্রহণ ৬৬ শতাংশ আর আমাদের দেশে মাত্র ছয় শতাংশ। আগামীতে ৪৫ হাজার মানুষকে সরকারি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হবে।
ক্রিয়েটিভ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনির হোসেন জানান, খরচ ছাড়াই গ্রাফিকস ও ওয়েব ডিজাইনের ওপর চার মাসের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতেই ক্রিয়েটিভ আইটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।


প্রযুক্তি কম বুঝলেও চাকরি!


why non
মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ব্যবহার করেন? অর্থাত্, আপনি এর মধ্যে প্রযুক্তি বিপ্লবের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছেন। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে আপনার এই প্রযুক্তি-দক্ষতা আপনার কাজের ক্ষেত্রে কীভাবে কাজে লাগাবেন? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে আপনি তো প্রযুক্তি বিষয়ে কিছুই জানেন না, ল্যাপটপ-মোবাইল ব্যবহার করলেই বা কী!
আপনি যদি চাকরিপ্রার্থী হন, তবে প্রযুক্তি-দক্ষতার বিষয়টি এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ।  প্রযুক্তি বিষয়ে খুব বেশি না জেনেও এখন সফলভাবে প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট চাকরিগুলোতে আবেদন করতে পারেন এবং দ্রুত আপনার দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে প্রযুক্তি-গবেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্রুত হারে চাকরির সুযোগ বাড়ছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে এবং এ ক্ষেত্রটি মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রে চলে আসছে। তাই প্রযুক্তি-দক্ষতা বিষয়ে কোনো ডিগ্রি বা সরাসরি অভিজ্ঞতা না থাকলেও এ ক্ষেত্রে চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। এ জন্য দ্রুত শিখে নেওয়ার জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তুলতে হবে।
প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা ছাড়াও কেন নিজেকে এ ধরনের কাজের জন্য যোগ্য ভাববেন:

প্রযুক্তি রহস্যময় কোনো বিষয় নয়
অন্যান্য দক্ষতার মতো প্রযুক্তি-দক্ষতাও চাকরি করতে করতে শিখে নেওয়া যায়। এখন সহজেই অনেক চাকরির প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া কোনো প্রকল্প পর্যবেক্ষণ এবং সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেও হাতেনাতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ থাকে।

নিজেকে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ভাবুন
নিজেকে যথেষ্ট স্মার্ট বা বুদ্ধিমান ভাবুন এবং সেই সঙ্গে কোনো বিষয় দ্রুত আয়ত্ত করার মানসিকতা তৈরি করুন। এতে কোনো এন্ট্রি লেভেল চাকরির জন্য নিজেকে যোগ্য ভাবতে পারবেন। এখন অধিকাংশ প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিজনেস ইনটেলিজেন্স বিষয়ক প্রার্থীর খোঁজ করে। এ ধরনের চাকরি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর একটি ভালো সুযোগ হতে পারে। এ ছাড়া প্রকল্প ব্যবস্থাপক, প্রোডাক্ট ডেভেলপার বা বিজনেস অ্যানালিস্ট পদগুলোতেও প্রযুক্তি-দক্ষতা শেখার সুযোগ থাকে।

নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ
যন্ত্রের মতো সব সময় নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখার চেয়ে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার অনেক সুবিধা রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য তৈরি কিংবা সমাধান তৈরিতে কাজ করে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলার জন্য প্রযুক্তি-দক্ষতা কাজে লাগানো যায়। কেবল প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে অল্প সময়ে তা সম্ভব হয়।

পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি
প্রযুক্তিশিল্প এখনো বিকাশের পর্যায়ে রয়েছে। কোনো প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কিং কমিউনিটি তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।

প্রয়োজন হবে কঠোর পরিশ্রমের
অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজের ক্ষেত্রে একেবারে অনভিজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য থাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা। প্রতিষ্ঠান এ ক্ষেত্রে শুরুতে কর্মীর পেছনে যথেষ্ট বিনিয়োগ করে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পর্বের সব দক্ষতা আয়ত্ত করে নিতে হবে, যা পরবর্তী সময়ে বড় পদের জন্য কাজে লাগবে।

তিন পরামর্শ
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আগ্রহী হলে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পরামর্শ কাজে লাগতে পারে। প্রথমটি হচ্ছে নিজে নিজে শেখা, দ্বিতীয়টি হচ্ছে শেখার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা ও তৃতীয়টি হচ্ছে বেতন নিয়ে মাথা না ঘামানো।

নিজে শিখুন
প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াতে নিজে নিজে শেখার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের সহযোগিতা নিতে পারেন। অনলাইনে আপনার প্রয়োজনীয় অনেক কোর্স পাবেন। এখান থেকে প্রাথমিক সব বিষয় জানতে পারবেন। অনলাইনে আপনি যেসব কোর্স সম্পন্ন করবেন প্রয়োজনে আপনার জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে সেগুলো উল্লেখ করে দিতে পারেন। তবে শুধু প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাকরি বলেই নয়, আপনার সঙ্গে মানানসই মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া, ফাইন্যান্স, মানবসম্পদ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও চেষ্টা করতে পারেন।

শেখার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয়
প্রযুক্তি-দক্ষতা অর্জনের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হবে উদ্যম, শেখার ক্ষেত্রে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা। আপনার কাঙ্ক্ষিত চাকরির জন্য প্রয়োজনে সবকিছু করার মানসিকতা আপনাকে অনেকখানি এগিয়ে দেবে।

বেতন নিয়ে মাথা না ঘামানো
শুরুতেই অর্থ উপায়ের বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করলে শেখার উদ্দেশ্য ব্যাহত হতে পারে। সাধারণত প্রযুক্তি-দক্ষতা তৈরি হতে সময় লাগে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা এসে গেলে অর্থের পেছনে ছোটার প্রয়োজন পড়বে না। তবে এর জন্য যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে দক্ষতা আয়ত্ত করতে মাথা থেকে কিছু বিষয় ঝেড়ে ফেলতেই হবে।

প্রযুক্তিশিল্প শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে নতুন কর্মীদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। আপনার এখন হয়তো প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই, তার পরও কোনো কিছুই আপনাকে আটকে দিতে পারবে না। শুধু আপনার পা বাড়ানোর অপেক্ষা। প্রযুক্তি বিপ্লবের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। কিসের জন্য অপেক্ষা?


১০০ ডলার থেকে শুরু শফিউলের


বিশ্ববিদ্যালয় পড়া অবধি যাঁর কাছে কোনো কম্পিউটার ছিল না, সেই শফিউল আলম এখন দেশের একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শফিউল আলম। তিনি একজন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার। ১০০ ডলারের কাজ দিয়ে শুরু করেছিলেন তাঁর ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার। এখন নিজেকে একজন উদ্যোক্তা পরিচয় দিতেই পছন্দ তাঁর।

শফিউল আলমঅনলাইন মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডটকম কর্তৃপক্ষ প্রতি সপ্তাহে একজন ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে তাদের ব্লগ সাইটে বিস্তারিত তুলে ধরে। এ সপ্তাহে ফ্রিল্যান্সার ডটকমে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শফিউল আলম সেই মর্যাদা পেয়েছেন। ফ্রিল্যান্সার ডটকম সাইটটিতে প্রায় ৯০ লাখ ফ্রিল্যান্সারের অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

শফিউল আলম তাঁর উদ্যোগ ও ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘শুরুতে চাকরির পেতে মরিয়া চেষ্টা করেছি। ছোটখাটো কিছু চাকরিও করেছি। এর ফাঁকে নিজেকে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে দক্ষ করে তুলেছি। দক্ষতা থাকার পরও প্রথম কাজ পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে। ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ১০০ ডলারের যে কাজ দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে শুরু করেছিলাম, তা এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। এখন আমি নিজেই একজন উদ্যোক্তা।’

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা প্রসঙ্গে শফিউল আলম বলেন, ‘চেষ্টা ছিল ডাক্তার বা প্রকৌশলী হব, কিন্তু হয়ে গেলাম ফ্রিল্যান্সার। পড়াশোনা করেছি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, তখনো কোনো কম্পিউটার ছিল না আমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার ছয় মাস পর কম্পিউটার পেয়েছিলাম আমি। কম্পিউটার পাওয়ার পর শখের বসেই শিখতে শুরু করেছিলাম জাভা নামের প্রোগ্রামিং ভাষা। বর্তমানে আমি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, ব্ল্যাকবেরি, ওয়েবসার্ভিস ও গ্রাফিকস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে দক্ষ।’

ফ্রিল্যান্সিংয়ের উদ্যোগ প্রসঙ্গে শফিউল বলেন, ২০১০ সাল থেকে শখের বসে শুরু করেছিলাম ফ্রিল্যান্সিং। শুরুতে ধৈর্য ধরে কাজ পাওয়ার পরই আমি কয়েকজনকে নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। ফ্রিল্যান্সারে আমার টিমের নাম অ্যাপবিডি।

শফিউল আলম  বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের প্রসঙ্গে জানান, বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছেন, যাঁরা ভালো কাজ করছেন। আবার অনেকেই এক্ষেত্রে নতুন। যাঁরা দক্ষ ও অভিজ্ঞ তাদের উচিত অন্যদের সহযোগিতা করা। আর নতুন যাঁরা তাদের উচিত দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করা। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার এবং কর্মসংস্থান তৈরির যে সুযোগ রয়েছে, তা কাজে লাগানো প্রয়োজন। সর্বোপরি ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
শফিউল আলম বিপ্লবকে নিয়ে ফ্রিল্যান্সারডটকমের ব্লগে প্রকাশিত লেখাটি পড়তে পারেন নিচের লিংক থেকে
http://blog.freelancer.com/featured-freelancers/featured-freelancer-friday-shafiul-alam-biplob/















যুদ্ধাপরাধের মামলার শুনানিতে আদালতে দাঁড়িয়েও বিভিন্ন সময়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন ছয়বারের এই সংসদ সদস্য, যা মামলার রায়েও উঠে এসেছে।
মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সালাউদ্দিন সারা দেশে সাকা চৌধুরী নামেই বেশি পরিচিত। রাজনৈতিক জীবনে কয়েকটি দল ঘুরে সর্বশেষ তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
তবে দলের প্রধান খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করে দলের ভেতরেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি।
তারেকের কর্মকাণ্ডে খালেদার নীরব সমর্থনের পরিপ্রেক্ষিতে সাকা বলেন, “আগে কুকুর লেজ নাড়াত, এখন লেজ কুকুরকে নাড়ায়।
আবার বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নিয়েতালাকপ্রাপ্ত বউয়ের ঘর করি না আমি’-মন্তব্য করেও দলে ক্ষোভের মুখে পড়েন সাকা চৌধুরী।
তার আশালীন আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও।
২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলায় নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, “আমি গ্রেনেড মারলে সেটাতো মিস হত না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “ছাত্রজীবনে শেখ মুজিব আমার বাবার শিষ্য ছিলেন।
আওয়ামী লীগের একটি মহল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাকে উস্কে দিচ্ছে অভিযোগ করে সালাউদ্দির কাদের বলেন, “ওই মহলটি জানে না যে তারা যে বিলের মাছ, আমি সালাউদ্দিন ওই বিলের বক।
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ওআইসিএর মহাসচিব পদে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়। এর সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
জবাবে সাকা বলেন, “বাবু ওআইসি নিয়ে কথা বলার কে? উনাকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে হলে, আমি ছোট বেলায় যে জিনিসটা কেটে ফেলে দিয়েছি, আগে ওই জিনিসটা কেটে ফেলতে হবে। তারপর বাবুকে ওআইসি নিয়ে কথা বলতে বলেন।
নারী নির্যাতন বিষয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাকা চৌধুরী বলেন, “তিনি কেরানীগঞ্জের একজন প্রমোদ বালক- এটা কি আমি কখনও বলেছি?”
নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতানেইউল্লেখ করেন সাকা চৌধুরী। অসত্য তথ্য দেয়ায় নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তার সংসদ সদস্য পদ খারিজের উদ্যোগ নেয় বিগত নির্বাচন কমিশন। সে সময় নির্বাচন কমিশনকেগমচোরবলে আখ্যা দেন তিনি।
তার আসনটি শূন্য ঘোষণার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ জানালেও আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে তা আর এগোয়নি।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালেও নানা তীর্যক মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন কাদের।
গত ১৭ জুন থেকে নিজের প্রথম সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন বিএনপির এই নেতা।
সাক্ষ্যে আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমার না হলে, ফাঁসি কারো হবে না।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাফাই সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেয়ার আদেশ দেয়ার পর গত ১৩ জুন সালাউদ্দিন কাদের বলেন, “কলকাতার জেলে পাঠাবেন না।
গত ৩০ জুন নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষক হলে আমিও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সাকা বলার যৌক্তিকতা তুলে ধরে গত বছর ২৩ জানুয়ারি প্রসিকিউটর জেয়াদ-আল-মালুম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, “সাকা আমাকে হালুম বলেন।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর বলেন, সালাউদ্দিন কাদের ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু বিচার চলাকালে আদালতের প্রতি তার আচরণ ছিল অসম্মানজনক।
তবে বিষয়টি রায়ে প্রভাব ফেলেনি বলে উল্লেখ করেন বিচারক।

হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

No comments:

Post a Comment